জেলগেটে পুঠিয়ার সাবেক ওসি সাকিলকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

জেলগেটে পুঠিয়ার সাবেক ওসি সাকিলকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

জেলগেটে পুঠিয়ার সাবেক ওসি সাকিলকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
জেলগেটে পুঠিয়ার সাবেক ওসি সাকিলকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পুঠিয়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাকিল উদ্দিন আহমেদকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সাকিল উদ্দিন এখন রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। বৃহস্পতিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসাইন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে দুদকের আরও দুই কর্মকর্তা ছিলেন। বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সাকিল উদ্দিন আহমেদকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে নিজেকে নির্দোশ দাবি করে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন।

পুঠিয়া থানার ওসি থাকাকালে সাকিল উদ্দিন আহমেদ ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে একটি হত্যা মামলায় ৮ জন আসামির নাম উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও ওই এজাহার পরিবর্তন করেন বলে অভিযোগ ওঠে। এছাড়া ওই মামলার জন্য সাদাকাগজে বাদীর সই নিয়ে সেটি দিয়েই মনগড়া এজাহার তৈরির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। হত্যার ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিতে বাধ্য করারও অভিযোগ আছে। বিচার বিভাগীয় তদন্তে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওসি সাকিলকে পুলিশ বাহিনী থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

আর এসব অপরাধ দুদক আইনের মধ্যে পড়ায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে গত বছরের ২৪ জানুয়ারী সাকিলের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. আল-আমিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। গত ১২ ডিসেম্বর রাজশাহীর আদালত এই মামলায় সাকিলকে কারাগারে পাঠান। গত সপ্তাহে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি সাকিলকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করলে তা মঞ্জুর হয়।

তদন্ত কর্মকর্তা মো. আমির হোসাইন বলেন, ‘এই মামলার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ খুব প্রয়োজন নয়। কারণ, অপরাধগুলো সব দালিলিক ব্যাপার। কাগজপত্রেই এসবের প্রমাণ আছে। তাও আসামিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিলে মামলায় একটা দুর্বলতা থেকে যায়। সে কারণেই জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাঁর লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করা হয়েছে। এতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, কিছু ক্ষেত্রে তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আদালত বলেছেন- জেলকোড অনুযায়ী আমি জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারব। আমার যতদিন ইচ্ছা, ততদিনই জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে। তবে আমার আর প্রয়োজন মনে হচ্ছে না। আমি দ্রুতই মামলার প্রতিবেদন কমিশনে পাঠাব। সেখানে অনুমোদন হলেই প্রতিবেদনটি অভিযোগপত্র আকারে আদালতে দেওয়া হবে।’

মতিহার বার্তা / ইএবি

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply